উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অদম্য যাত্রায় ‘কৃষি নির্ভর অর্থনীতি’ অন্যতম একটি প্রাণ হিসেবে বিদ্যামান। কৃষকের শ্রম দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তির পাশাপাশি নিরাপদ ও সুখাদ্য প্রস্তুতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। কৃষির বিভিন্ন খাত যেমন, ধান-পাট চাষ, শাক-সবজি, ফল-ফলাদি, পশু পালন ও মাছ চাষ সহ ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের যে কোন পদক্ষেপ দেশের অতল সমৃদ্ধ বয়ে আনবে। নিশ্চিন্তে খাদ্য গ্রহণের এক অপার পথ তৈরী হবে…
খাদ্য উৎপাদনে আমাদের ভুলগুলো
১. খাদ্য উৎপাদন করতে অনিয়ন্ত্রণ কীট নাশক ব্যবহার ও কীটনাশক ব্যবহারের পর যাতে এর অবশিষ্টাংশ খাদ্যে না থাকে সে জন্য প্রি হারভেস্ট ইন্টারভাল এবং পোস্ট হারভেস্ট ব্যবস্থাপনা চর্চা কম।
২. শুধু ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতেই ইউরিয়া, ফরমালিনসহ নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে মাছকে বিপজ্জনক বিষে পরিণত করা হয়, মাছ আহরণ স্থল থেকেই প্রয়োগ করা হয় ফরমালিন।
৩. দেশের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির গবেষণায়ও গরুর দুধ, দইয়ের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় অণুজীব, অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক এবং সিসা পাওয়া যায়।
৪. কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফরমালিন হচ্ছে বর্ণহীন গন্ধযুক্ত ফরমালডিহাইড। ফরমালিন হল একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দেখতে সাদা প্রিজারভেটিভ। ফরমালিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংক্রমিত হতে না দেয়া। অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাককে মেরে ফেলতে পারে। মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক এই পদার্থ নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ল্যাবরেটরি, ইনডাস্ট্রি ইত্যাদিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও বিশেষ কিছু বিধি নিষেধ আছে। ফরমালিন হল ননফুড গ্রেডের প্রিজারভেটিভ তাই খাদ্যদ্রব্যতে এর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC2) ধূসর কালো দানাদার রসুনের গন্ধযুক্ত রাসায়নিক পদার্থ। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় ইস্পাত কারখানায়, ধাতব বস্তু কাটাকাটিতে বা ওয়েল্ডিং ইত্যাদি কাজে। অ্যাসিটিলিন গ্যাস ও বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির জন্যও এটি ব্যবহার করা হয়। বলতে পারেন এটি পলিথিন তৈরিরও কাঁচামাল।
ফলমূলে ক্যামিকেল, মাছে ফরমালিন, মাংসে ক্ষতিকর হরমোন, শাক-সবজিতে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ- এ ধরনের সংশয় ও আতঙ্কের মধ্যেই জীবন অতিবাহিত হচ্ছে
উওরনে আমাদের প্রয়োগ?
পরিসংখ্যান ও তথ্য থেকে আমাদের ক্ষুদ্র ভাবনা
১. কোনটি যে ভেজালমুক্ত খাদ্য, তা নির্ণয় করা সকলের জন্য কঠিন সহজলভ্য নয়। তাই অনিরাপদ এক ভবিষ্যৎ- এর দিকে এগোচ্ছি।
২. আইন প্রয়োগের দূর্বলতা ও ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মুল স্তর থেকে ভেজাল ও অনিরাপদ প্রক্রিয়া ব্যহত করা সহজ নয় ও সময়সাপেক্ষ।
৩. বিশুদ্ধ খাদ্যের ক্রয়মূল্য সামাঞ্জস্য করা সংপ্রশ্নন স্বাভাবিকভাবেই প্রতীয়মান।
বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিসারিজ যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিবে:
১. যে কোন উৎপাদিত পণ্যে রাসায়নিক ব্যবহার ও পরিমাণ সঠিক হওয়া।
২. গবাদী পশু সমূহকে ক্ষতিকারক ইঞ্জেকশন থেকে বিরত রাখা ও প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করণ করা,
পাশাপাশি নিয়মিত পশু চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
৩. মাছের আহার সহ অন্যান্য পশুর খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা।
৪. উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ নিরাপদ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা।
৫. টেকসই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৬. প্রকল্প, বিভিন্ন খামার, পুকর ও বাগান সমূহে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
৭. কৃষি সম্পর্কিত সকল ক্ষতিকারক বিধিসমূহ থেকে বিরত ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করা।
৮. কৃষি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ দক্ষজনবল নিয়োগ করা।
বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিসারিজে কেন বিনিয়োগ করবেন?
বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিরাসিজ- এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পদ্ধতিতে আপনাকে মালিকানা নাম মাত্র মূল্যে প্রদান করছে, যা সম্পূর্ণ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত হবে।
আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ আপনার ও পরিচালনা পর্ষদের শ্রম ও মেধায় নির্দিষ্ট বছরে মূল্ধন দিগুণ হওয়ার পাশাপাশি চমকপ্রদ মুনাফা পাওয়া সুযোগ থাকবে।
বর্তমান সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশুদ্ধ বা ফরমালিন/ক্যামিকাল মুক্ত খাবার সংগ্রহ করা বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রকল্পে শেয়ার ক্রয় করার মাধ্যমে বিশুদ্ধ শাক-সবজি, ফলমূল ও মাছ ইত্যাদি নিশ্চিত করতে পারবেন আপনার ঠিকানায়।
বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিসারিজের সম্ভাবনা:
প্রকল্পের উৎপাদিত সকল পণ্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রয় হবে সারাদেশের স্থানীয় বাজার-ঘাটে।
কৃষি ই-কর্মাসের সরবরাহকারীর হিসেবে কাজ করবে বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিসারিজ। উদ্যোগতাদের অপার সম্ভাবনা হাতছানি।
বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিসারিজের হাত ধরে গরুর-ছাগলের গোশত, বিভিন্ন প্রকার দেশী মাছ ও সবজি রপ্তানীর প্রসারণ ঘটবে
বেঙ্গল এগ্রো এন্ড ফিসারিজে যা যা উৎপাদিত হবে:
আমাদের প্রকল্পে ব্যবস্থা থাকবে সু-বিশাল খামার। যেখানে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাসঁ ও বিভিন্ন জাতের মুরগী লালিত পালিত হবে।
আমাদের প্রকল্পে ৭ থেকে ৮ ফুট গভীর খননে রুই, কাতলা, চিংড়ি, পাঙ্গাস, মাগুর ও তেলাপিয়া সহ দেশী- বিদেশী মাছ।
প্রকল্পে দৃষ্টিনন্দন সবজির বাগানে উৎপাদিত হবে মৌসুমী শাক- সবজি। যেমন: লাউ, আলু, ফুলকপি, বাধাঁকপি, টমটো, শিম, লেবু, মিষ্টিকুমড়া সহ নানান বাহারী শাক- ও সবজি।
মানুষের পুষ্টিগত চাহিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সুষম খাদ্য। তাই খাটি গরুর দুধ ও হাসঁ- মুরগীর ডিম যত্ন সহকারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশী মৌসুমি ফলফলাদি যেমন আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, পেয়ারা, বরই সহ দেশী ফলমূল। ব্যবসায়িক প্রসারণের লক্ষ্যে বিদেশী ফল যেমন আপেল, কমলা, স্ট্রবেরী সহ বিভিন্ন বিদেশী ফলের হবে সঠিক উৎপাদন।
” At the very outset, let me take this opportunity to offer my warm congratulations to all of our stakeholders on the auspicious day of this publication.”
Hakim Tower, Floor – 06, Sakin-KA-74/1, Kuril Chowrasta, Dhaka-1229.
+88028419044
0192991896268